নিজস্ব প্রতিবেদন: অবশেষে পিছু হটল সিইএসসি। শুধু জুন মাসের গড় ইউনিট অনুযায়ী টাকা নেবে সিইএসসি। এমনটাই জানালেন সংস্থার এমডি দেবাশিষ ব্যানার্জি। মার্চ, এপ্রিল এবং মে এই তিন মাসের ইউনিটের অনাদায়ি বিল আপাতত স্থগিত রাখা হচ্ছে।
সিইএসসি-র তরফে আরও জানানো হয়, যাঁরা ইতিমধ্যেই জুনের বিল দিয়েছেন, তাঁদের পরবর্তী বিলে এডজাস্ট করা হবে। গ্রাহকদের স্বার্থের জন্যই এই সিদ্ধান্ত জানাল সিইএসসি। সংস্থার এমডি দেবাশিষ ব্যানার্জি বলেন, “মার্চ থেকে লকডাউনের জন্য মিটার রিডিং সম্ভব হয়নি। তাই প্রতি মাসে গড় বিল দেওয়া হয়েছে। এর জন্য অনেক কম বিল এসেছিল। জুনে এক সঙ্গে চার মাসের ইউনিট হিসেব করে বিল দিয়েছিল সিইএসসি। তার জন্যই মোটা অঙ্কের বিল হয়েছে।” উদাহরণ দিয়ে দেবাশিষবাবু জানান, ধরা যাক, কারও ১০০০ ইউনিট হয়েছে। গড় এক মাসের ইউনিট ২৫০। সেটাই জুনের বিল করে পাঠাচ্ছে সিইএসসি। বাকি অনাদায়ি বিল আপাতত স্থগিত রাখল সিইএসসি।
উল্লেখ্য, সিইএসসি-র মোটা অঙ্কের বিল নিয়ে কলকাতা-সহ গোটা রাজ্যে বিক্ষোভ-প্রতিবাদ হয়। ময়দানে নামে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলিও। সিইএসসি ও রাজ্য বিদ্যুত্ দফতরের সামনে অস্বাভাবিক বিদ্য়ুত বিল প্রত্যাহারে প্রতিবাদে নামে বিজেপি এবং বাম দলগুলি। তাঁদের অভিযোগ, অযৌক্তিক বিল পাঠানো হয়েছে জুন মাসে। এরপর সিইএসসি জানিয়ে দেয়, জুনের বিল কীভাবে নেওয়া হবে, তা শীঘ্রই জানানো হবে।